"DUET Admission Test" এর সিলেবাস !!

"DUET Admission Test" এর সিলেবাস সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। আজকের লেখাটা সিলেবাস নিয়ে। আমরা অনেকেই জানিনা যে, বাংলাদেশের বাকী চারটা ইঞ্জিনিয়ারিং(বুয়েট, চুয়েট, রুয়েট, কুয়েট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার চাইতে ডুয়েট এর ভর্তি পরীক্ষার নিয়মাবলী ও সিলেবাস একটু আলাদা। কারন বাকী চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ কৃত ছাত্র-ছাত্রীরা, শুধু মাত্র ডুয়েটে ভর্তি হতে পারে এসএসসি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ কৃত ছাত্র-ছাত্রীরা।

Images: DUET Website Home View

ঠিক এই কারনেই ডুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাস একটু আলাদা এবং ভর্তির প্রশ্ন প্যাটার্ন ও আলাদা। একটা বিষয় আমরা সকলেই জানি, ইঞ্জিনিয়ারিং মানেই হচ্ছে সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ড (যা বাকী চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ১০০% কার্যকর)। কিন্তু আমরা অনেকেই কমার্স, মানবিক ও মাদ্রাসা থেকে এসএসসি ও দাখিল পাশ করে ডিপ্লোমা করি, ডিপ্লোমা পাশ করলেও সরাসরি বিএসসি'তে ভর্তি হয়ে সেটা কমপ্লিট করা তাদের জন্য একটু টাফ। কারন সাইন্স মানেই ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও ম্যাথমেটিকসকেই বুঝি আমরা, ডিপার্টমেন্ট বিষয় গুলোর কথা নাইবা বললাম।
আমরা ডিপ্লোমায় ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রির অতি নগন্য একটু সিলেবাস পড়ি, যেটা আসলে কিছুই না তাদের কাছে যারা এইচএসসি'তে সাইন্সে পড়ে। আর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আসলে আপনাকে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি এবং ম্যাথমেটিকসে একটু এক্সপার্ট হতেই হবে। কিন্তু এসএসসি ও ডিপ্লোমার ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ম্যাথমেটিকস পড়ে আপনি এগুলার পারদর্শী হতে পারবেননা, আর পারলেও সেটা মাত্র ৩০%, এইক্ষেত্রে কমার্স, মানবিক ও মাদ্রাসা থেকে এসে ডিপ্লোমা করা ভাই বোনদের অবস্থা আরো নাজুক, আমি সেদিকে নাইবা গেলাম।
তবুও হতাশ হওয়ার কিছুই নেই, এইচএসসি'র ছেলে মেয়েরা দুইবছর এই তিন বিষয় সহ সব বিষয় পড়ে এইচএসসি পাশ করে, আর আমরা এডমিশনে এই তিনটা বিষয় ৮-১৮ মাস পড়ে কাভার করা খুবই সহজ এবং কিছুইনা। কিন্তু ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও ম্যাথের (৬-৭০)% বেসিক জানা না থাকলে আপনার জন্য উচ্চ লেভেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াটাও কষ্টকর হয়ে যাবে।
Images: Syllabus of Physics and Chemistry Part.

ঠিক এই কারনে এসএসসি ও ডিপ্লোমায় ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ম্যাথমেটিকস পড়ার পরেও ডুয়েট এডমিশন টেস্টে এইচএসসি'র ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি এবং ম্যাথমেটিকস রাখা হয়েছে, যাতে করে ব্যাসিক ধারনা নিয়ে, বাকীটা চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সিলেবাসের মতো করে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেভেলে আসা যায়।
Images: Chemistry, Mathematics and Humanities & Social Sciences(English)
Images:  Humanities & Social Sciences(English) and CE Department Part.

Images: EEE and ME Department Part
 আর ভার্সিটি মানেই ইংলিশ সিলেবাস, এছাড়াও জীবনে শিক্ষার প্রতিক্ষেত্রে ইংলিশের গুরুত্ব সম্পর্কে আমার বলার কিছুই নেই। আপনি ইংলিশে এক্সপার্ট তো উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনে, চাকরির ক্ষেত্রে আপনি ৪০% এগিয়ে থাকবেন। এই কারনে ডুয়েট এডমিশন টেস্টের সিলেবাসে গ্রামার ভিত্তিক ইংরেজি সিলেবাস এড করা হয়েছে।
মোট কথা, ফিজিক্স + কেমিস্ট্রি+ ম্যাথমেটিকস + ইংলিশ (৪০+৪০+৪০+৩০=১৫০) নন ডিপার্টমেন্টের মার্কিং ইকুয়েশন হচ্ছে এরকম, আর এই ১৫০ নাম্বারে আপনাকে ৫৬+ নাম্বার পেয়ে নন ডিপার্টমেন্ট পার্টে পাশ করতে হবে, নয়তো আপনার ডিপার্টমেন্ট পার্টের খাতাটা দেখাই হবেনা। এই নিয়ে অন্য এক লেখায় আলোচনা করা হয়েছে।
Images: ME , CSE and Textile Department Part

অন্যদিকে ডিপার্টমেন্টের সিলেবাস হচ্ছে, পলিটেকনিকে পড়ে আসা সিলেবাসের উপর ভিত্তি করে, গুরুত্বপূর্ন বিষয় গুলোর মধ্যে মোট (৯-১৩) টা বিষয় বা টপিকস থেকে টোটাল ১৫০ নাম্বারের প্রশ্ন করা হয়। ডুয়েটে যারা চান্স পায়, তাদের অধিকাংশই ডিপার্টমেন্ট পার্টে (৯০-১০০)+ নাম্বার পেয়েই চান্স পায়। (নোটেড দ্যাটঃ ডুয়েট এডমিশন টেস্টে সাধারণ জ্ঞ্যান বা ইতিহাস কিংবা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে কোন প্রকার প্রশ্ন করা হয়না বা আসেনা।)
Images: Textile and Architecture Department Part
Images: IPE and FE Department Part
Images: Food Engineering Department Part

কিন্তু এই লেখাতে নন ডিপার্টমেন্টের সিলেবাসে কি কি টপিকস আছে এবং কোন ডিপার্টমেন্টের সিলেবাসে কি কি বিষয় বা টপিকস আছে সেগুলো লিখতে গেলে লেখা অনেক এবং অনেক বড় হয়ে যাবে লেখাটা। তাই এখানে স্ক্রিনশট আকারে তুলে ধরেছি, সিলেবাস ইংলিশে লেখা৷ আপনাদের ডিপার্টমেন্টের কোন বিষয় না বুঝলে বা নন ডিপার্টমেন্টের কোন বিষয় বা টপিকসের নাম না বুঝলে বা বাংলা না করতে পারলে কমেন্ট করবেন। আমি বুঝিয়ে দেবো...
ছবিতে না বুঝা গেল এই লিংকে
 http://admission.duetbd.org/notice/Undergraduate%20admission%20Prospectus_2017-2018_final.pdf ক্লিক করে, Prospectus পয়েন্টে ক্লিক করল একটা পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড হবে। আর সেটাতে আরো অনেক কিছু বিস্তারিত লেখা আছে। এই সিলেবাস গত সেশনের, যদি সিলেবাস চেঞ্জ বা কোন আপডেট হয়, অবশ্যই সবাইকে অবগত করা হবে বা কোচিং এর ভাইয়েরা সেভাবে কোর্স সাজিয়ে থাকে।
বিঃ দ্রঃ মাদ্রাসা, কমার্স কিংবা মানসিক শাখা থেকে এসএসসি কিংবা ডিপ্লোমায় দূর্বল ছাত্র বা ছাত্রী হিসেবে দূর্বল ছিলেন। এই ব্যাপারটা কিছুই না, যদি আপনার স্বপ্ন থাকে DUETian হওয়া। কারন আমি দেখছি, এসব ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে উঠে আসা ছাত্র ও ৩-৬ মাস কোচিং করে, পরিশ্রম করে DUETian হয়েছে, সো হতাশ কিংবা আমাকে দিয়ে হবেনা ভেবে বিসে থাকবেন না। আপনার অবশ্যই জেনে রাখা উচিত যে, "শূন্য থেকে শুরু করা জিনিস খুব সহজেই বুঝা যায় এবং আয়ত্ব করা যায় !!"
-So Take a Decision and Take a Risk,nTry "Heart and Soul". I'm Sure You will become a DUETian !!"
-"DUET Admission Test" সংক্রান্ত এটাই আমার শেষ পোস্ট বা লেখা। তবে আপনাদের সুবিধার্থে সব গুলো লেখা বা পোস্টের লিংক একত্রিত করে আরো একটা পোস্ট করবো। যেখানে আপনারা এক পোস্টেই আগের সব লেখার লিংক পাবেন। এছাড়া কোন কিছু জানার থাকলে, কোন প্রশ্ন থাকলে ইনবক্সে মেসেজ না করে " bitBox " গ্রুপে আপনার প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা সুন্দর করে গুছিয়ে লিখে পোস্ট করবেন। যথাসময়ে উত্তর পাবেন ইনশাআল্লাহ।
Thanks All
Saifulläh Amïn
CSE 14th Batch, DUET

5 comments:

  1. Vai syllabus ki sort akare thake naki, na boier sob pore sesh dite hobe

    ReplyDelete
    Replies
    1. নির্দিষ্ট অধ্যায় ভিত্তিক থাকে.. কোচিং করলে কোচিং এর ভাইয়েরা করাবে ওভাবে... আপনি ও বুঝবেন ডুয়েটের ওয়েবসাইটে সিলেবাস পাবেন পিডিএফ ফাইল...

      Delete
  2. সিলেবাস কি প্রতি বছর পর পর পরিবর্তন করা হয়?

    ReplyDelete
    Replies
    1. প্রতি বছর হয়না.. হলেও সেটা ২ মাস আগে এডমিশন এর সার্কুলার হলে জানিয়ে দেয়... আর এডমিশন এর সার্কুলার ২ থেকে আড়াই মাসের আগে হয়...

      Delete
  3. কোচিং না করলে ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করা যায় না?

    ReplyDelete

Powered by Blogger.